ফ্রিল্যান্সিং সাইট হতে আয় করুন (oDesk)

Reliable and Important tips to success in freelancing site - oDesk
ফ্রিল্যান্সিং সাইট গুলোর মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি সাইট হল ওডেস্ক(oDesk)। এই সাইটে প্রচুর বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সারা সফলতার সাথে কাজ করে যথেষ্ট পরিমানে অর্থ উপার্জন করছে। এই ফ্রিল্যান্সিং সাইটের সবচেয়ে বড় প্লাস-পয়েন্ট গুলো হল- এখানে প্রচুর পরিমানে কাজ পাওয়া যায় এবং অর্থ উত্তোলনের ক্ষেত্রে কোন রকমের ঝামেলা নেই। এই সাইটটি বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান সহ অন্যান্য দেশের ফ্রিল্যান্সারদের জন্য অত্যন্ত কর্ম-উপযোগী ফ্রিল্যান্সিং সাইট।

ইন্টারনেট থেকে আয়ের একটি ভাল এবং উন্নত মাধ্যম হল এই ফ্রিল্যান্সিং সাইট ওডেস্ক। কিছু কাজ জানলে এই ওয়েব-সাইট থেকে প্রচুর পরিমানে আয় করা সম্ভব। আমি এবং আমার কিছু ফ্রেন্ড মিলে ওডেস্কে একটি গ্রুপ(এজেন্সি) তৈরি করেছি এবং সেখানে আমরা গ্রুপবেধে কাজ করি। আয়ের ব্যাপারে শুধুমাত্র একটি কথাই বলি যে, ওডেস্কে আমি যে দিন থেকে কাজ করা শুরু করেছি সেদিন থেকে আমার মাসিক সর্বনিম্ন ইনকাম হল ২০,০০০ টাকা আর সর্বোচ্চ লাখের ঘরও ছাড়িয়ে যায়। যাইহোক নিজের প্যাঁচাল অনেক পারলাম। এখন ওডেস্কে আপনার সফলতার কথা শোনার অপেক্ষায় থাকলাম। এখন আপনিই ভাবুন আপনি ওডেস্কে কি কি কাজ করতে চান? এবং সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিন।

তবে আমি আপনাদেরকে ওডেস্কে ভাল আয় করার জন্য কিছু টিপস এবং প্রয়োজনীয় কিছু ইনফরমেশন শেয়ার করব। প্রয়োজনে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন, আমি চেষ্টা করব আমার সাধ্যমত টিপস,  ইনফরমেশন দিয়ে হেল্প করার। এখন আপনার সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণই আপনার কাছে।

ওডেস্কে সফল হওয়ার জন্য কিছু প্রাথমিক ও সাধারন টিপসঃ
১. ওডেস্কে অ্যাকাউন্ট খোলার পর প্রোফাইল ১০০% কমপ্লিট করা।
২. সুন্দর এবং তথ্যবহুল একটি প্রোফাইল অবজেক্টিভ তৈরি করা, যাতে বায়ার (Buyer) আপনার প্রোফাইল অবজেক্টিভ পড়ে আপনাকে কাজ দিতে আগ্রহী হয়।
৩. আপনি যে বিষয় নিয়ে ওডেস্কে কাজ করতে চান সে সম্পর্কিত উন্নতমানের কিছু পোর্টফলিও(Portfolio) দেওয়া। কমপক্ষে ১০ টি পোর্টফলিও দেওয়া।
৪. যতগুলো সম্ভব স্কিল-টেস্ট (Skill Test) দেওয়া। স্কিল-টেস্টগুলোতে স্কোর যাতে 4.00 এর উপরে থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। যতবেশি স্কিল-টেস্ট আপনি দিবেন আর ভাল রেজাল্ট করবেন, বায়ার তার কাজের জন্য ততবেশি আপনাকে দক্ষ ও উপযুক্ত মনেকরবে।
৫. জব বা কাজ পাওয়ার জন্য কাজের সাথে সম্পর্কিত দক্ষতা ও অভিজ্ঞতাপূর্ণ, শক্তিশালী এবং তথ্যবহুল কভার লেটার (Cover Letter) জমা দেয়া, যাতে কভার লেটার দেখে বায়ার আপনাকে ঐ কাজের জন্য উপযুক্ত মনেকরে।
৬. রাতে (বাংলাদেশী সময় অনুযায়ী) কাজের জন্য অ্যাপ্লাই (Apply) করা। বেশিরভাগ সময় আমরা এই ভুলটা করি। বায়ার যখন ঘুমিয়ে থাকে তখন আমরা কাজের জন্য অ্যাপ্লাই করি, আর যখন বায়ার সবাইকে কাজ দেওয়ার জন্য বসে থাকে তখন আমরা ঘুমাই।
৭. ওডেস্ক, ইমেইল এবং স্ক্যাইপি -তে রেগুলার আপডেট থাকতে হবে। কারন যেঁকোন সময় বায়ার যে কোন মেসেজ, ইন্টারভিউ বা কাজের জন্য হায়ার করতে পারে। আপনাকে চেষ্টা করতে হবে যতদ্রুত সম্ভব পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত হয়ে উত্তর দেওয়ার।
৮. অনেক সময় অনেক বায়ার নতুনদের কাজ দিতে চান না। কারন তারা কাজের গুনগত মান নিয়ে চিন্তা করেন। নতুনদের উপরের ১-৭ নম্বর পর্যন্ত টিপস অনুসরন করার পাশাপাশি কাজের মান অনুযায়ী একটু কম রেটে অ্যাপ্লাই করা। পরবর্তীতে ফিডব্যাক, এক্সপেরিইয়েন্স এবং ওয়ার্কিং আওয়ার বেশি হলে সাভাবিক রেটে অ্যাপ্লাই করতে হবে।

আশাকরি এই টিপসগুলো অনুসরন করলে স্বাভাবিকভাবে ওডেস্কে সফল হওয়া সম্ভব হবে।



প্রয়োজনীয় লিংকঃ
জিমেইলে অ্যাকাউন্ট খুলতে চাইলে  এখানে ক্লিক করুন
ইয়াহু-তে অ্যাকাউন্ট খুলতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন
ওডেস্কে সফলতার কার্যকারী টিপস জানতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন
ওডেস্কে সঠিক উপায়ে অ্যাকাউন্ট খোলার পদ্ধতি এবং ওডেস্কে কি কি ধরনের কাজ পাওয়া যায় তা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন
oDesk-এর Readiness Test এ A+ (প্রশ্ন + উত্তর) পেতে এখানে ক্লিক করুন




যে কোন ধরনের তথ্য / অনুসন্ধানের জন্য আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন। 
আপনার উন্নতি ও সফলতাই আমাদের একান্ত কাম্য।

*** ধন্যবাদ ***

3 Comments

দয়া করে এখানে আপনার মূল্যবান মতামত রেখে যাবেন। আপনার মূল্যবান মতামত আমাদের নতুন কিছু লেখার জন্য উৎসাহিত করবে।

  1. আপনার সাইট দেখে খুব ভালো লাগলো,মনে হচ্ছে আপনি খুব হেল্পফুল মানুষ

    ReplyDelete
  2. থাঙ্কস

    ReplyDelete

Post a Comment

দয়া করে এখানে আপনার মূল্যবান মতামত রেখে যাবেন। আপনার মূল্যবান মতামত আমাদের নতুন কিছু লেখার জন্য উৎসাহিত করবে।

Post a Comment

Previous Post Next Post